চার শতাধিক ঘরছাড়া বিজেপি কর্মী সমর্থকদের ঘরে ফেরালেন তৃণমূল নেতৃত্ব

16th May 2021 2:30 pm বর্ধমান
চার শতাধিক ঘরছাড়া বিজেপি কর্মী সমর্থকদের ঘরে ফেরালেন তৃণমূল নেতৃত্ব


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) :  ভোট পরবর্তী রাজনৈতিক হিংসা এখনও চলছে বলে অভিযোগ তুলে প্রতি মুহুর্তে গলা ফাটাচ্ছেন বিজেপি নেতৃত্ব।কিন্তু সেই সবে কান না দিয়ে  আতঙ্কে ঘর ছাড়া হয়ে থাকা বিজেপি কর্মীদের ঘরে ফেরানোর কাজ অব্যাহত রাখলো শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস।শনিবার জেলার জামালপুর বিধানসভার তৃণমূল নেতৃত্ব নিজেরাই দায়িত্ব নিয়ে ঘরে ফেরালেন  ৪ শতাধীক  বিজেপি কর্মীকে ।একই সাথে তৃণমূলের নেতারাই  ঘরে ফেরা বিজেপি কর্মীদের দোকান খোলানোর ব্যবস্থাও করলেন ।জামালপুরের তৃণমূল নেতৃত্ব এমন মহানুভবতা দেখানোয় আপাতত স্বস্তিতে বিজেপি কর্মীরা । 


ভোটের ফল ঘোষণার পরেই পরেই আতঙ্কে  ঘর ছেড়েছিলেন জামালপুর বিধানসভা এলাকার বেশ কিছু  বিজেপি কর্মী।ব্লক তৃণমূল সভাপতি মেহেমুদ খাঁন ও যুব সভাপতি ভূতনাথ মালিকের কথায় আশ্বস্ত হয়ে এদিন দুপুরে প্রায় ৪ শতাধীক বিজেপি কর্মী জামালপুরের পুলমাথায় তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যালয়ে এসে হাজির হন । তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারাই  তারপর দায়িত্ব নিয়ে তাঁদের ঘরে পৌছে দেওয়ার  ব্যবস্থা করেন । 
কয়েকদিন আগে জেলার হাটুদেওয়ান, রায়ান 
ও কালনা বিধানসভার তৃণমূল নেতৃত্বও ঘরছাড়া বিজেপি কর্মীদের ঘরে ফেরানোর ব্যবস্থা করার পাশাপাশি তাঁদের দোকান খোলানোর ব্যবস্থা করেন । 


এদিন ঘরে ফেরা  জামালপুরের  বিজেপি নেতা  সমীর বাগ ,শ্রীবাস পরামাণ্য ,সুজিত হালদার ও গোপাল দত্ত  বলেন, “ভোটের ফল বের হওয়ার পর তাঁরাই আতঙ্কে ঘরছেড়ে  পালিয়ে গিয়েছিলেন ।কারণ তাঁদের মনে হয়েছিল বিজেপি করার জন্যে তাঁদের উপরে হামলা হতে পারে । সেই ভয়েই তাঁরা প্রায় ৪ শতাধীক বিজেপি নেতা ও কর্মী ঘর ছেড়ে ছিলেন । কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি । তৃণমূল নেতা মেহেমুদ খাঁন ও ভূতনাথ মালিকের কথায় আশ্বস্ত হয়ে এদিন নির্ভয়ে তারা সবাই বাড়ি ফিরে এসেছেন।  সমির বাগ বলেন , আগামী দিনে আর বিজেপি পার্টি করবেন কিনা সেই বিষয়টি এখন তাঁদের কাছে ভাবনাচিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে“ । 


জামালপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি 
নেহেমুদ খাঁন বলেন,“তৃণমূল কংগ্রেস হিংসার  রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না । তাই তৃণমূল  নেত্রীী পরিস্কার নির্দেশ দিয়েছেন কোন রকম অশান্তি বা হিংসা বরদাস্ত করা হবে না।এদিন  বিজেপির যে কর্মীদের বাড়ি ফেরানো হল  তাঁরা নিজেরাই ভোটের ফল প্রকাশের পর  ভয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন।  আমারাই তাদের এদিন বাড়ি ফিরিয়ে দিয়েছি“ । অন্যদিকে ব্লক তৃণমূল যুব  কংগ্রেসের সভাপতি ভূতনাথ মালিক দাবি করেন  ,তৃণমূল যে রাজ্যে অশান্তি চায় না এই ঘটনা তারই প্রমাণ। এত কিছুর পরেও  রাজ্য বিজেপি নেতারা উস্কানিনূলক বক্তব্য রেখে রাজ্য অশান্ত করতে চাইছেন । ওনারা উস্কানি মূলক বক্তব রাখা যত তাড়াতাড়ি বন্ধ করেন ততই রাজ্যের মঙ্গল হবে “। 

 





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।